বিশুদ্ধ আল কুরআন ও কিছু তাফসীরের নাম,চিহ্নিতকরন









5)কুরআনুল কারীম – বাংলা তাফসীর (দারুস সালাম প্রকাশনী) ড. মুহাম্মাদ মুজিবুর রহমান,
6)সুরা ফাতেহার তাফসীর .
7)মূলঃ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব ,তাফসীরুল কুরআন ৩০তম পারা
8)মূলঃ মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল গালিব ,তাফসীর কি মিথ্যা হতে পারে?
9)মূলঃ আবদুর রাযযাক বিন ইউসুফ ,তাফসীর আইনী আমপারা
10)মূলঃ অধ্যাপক শেখ আইনুল বারী আলিয়াবী ,আল কুরআনের সংক্ষিপ্ত তাফসির
11)মূলঃ কতিপয় উলামা ,তাফসীরে - হুকুম বি-গায়রি মা- আনঝালাল্লাহ ইত্যাদি।। the end...
প্রসিদ্ধ কিছু আল-কুরানের নামঃ------
ড. যাকারীয়া কর্তৃক অনুবাদ ও ব্যাখ্যা











সূরা নম্বরঃ 96
মোট আয়াতঃ 19 টি, সুরার ধরণঃ মাদানী
اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ ﴿١﴾ 96:1
১। তুমি পড় তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। [1]
[1] এটাই সর্বপ্রথম অহী যা নবী (সাঃ)-এর উপর ঐ
সময় অবতীর্ণ হয় যখন তিনি হিরা গুহায় আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন ছিলেন। ফিরিশতা (জিবরীল)
তাঁর নিকট এসে বললেন, ‘পড়।’ তিনি বললেন, ‘আমি তো পড়তে জানি না।’ ফিরিশতা তাঁকে জড়িয়ে ধরে শক্তভাবে চেপে ধরলেন
এবং বললেন, ‘পড়।’ তিনি পুনর্বার একই উত্তর দিলেন। এইভাবে
ফিরিশতা তিনবার করলেন। (এ
ব্যাপারে বিস্তারিত দেখুনঃ সহীহ বুখারী অহী অধ্যায়, মুসলিম
ঈমান অধ্যায় ও অহীর প্রারম্ভিক সূচনার পরিচ্ছেদ।)
اِقْرَأْ অর্থাৎ, যা
আপনার প্রতি অহী করা হয়েছে তা পড়। خَلَق শব্দের
অর্থ হল যিনি সমস্ত সৃষ্টিকে সৃষ্টি করেছেন।
خَلَقَ الْإِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ ﴿٢﴾ 96:2 ২। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে রক্তপিন্ড হতে। [1]
[1] এই আয়াতে সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে বিশেষ করে
মানুষের জন্মের কথা উল্লেখ হয়েছে; যাতে মানুষের মর্যাদা
স্পষ্ট।
اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ ﴿٣﴾ 96:3 ৩। তুমি পড়। আর তোমার প্রতিপালক
মহামহিমান্বিত। [1]
[1] এ বাক্যটি তাকীদের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এ
দ্বারা বড় অলঙ্কারপূর্ণ ভঙ্গিমায় নবী (সাঃ) এর ওযরের জওয়াব দেওয়া হয়েছে, যা তিনি ‘আমি পড়তে জানি না’ বলে পেশ করেছিলেন। আল্লাহ বললেন, আল্লাহ মহামহিমান্বিত; তুমি পড়। অর্থাৎ,
মানুষের ভুল-ত্রুটি উপেক্ষা করা তাঁর বিশেষ গুণ।
الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ ﴿٤﴾ 96:4 ৪। যিনি কলমের
সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। [1]
[1] قَلم অর্থ হল
কাটা, চাঁছা বা ছিলা। পূর্ব যুগে লোকেরা কেটে বা চেঁছে কলম তৈরী করত। এই জন্য
লেখার যন্ত্রকে কলম বলা হয়। কিছু ইলম (জ্ঞান) তো মানুষের স্মৃতিতে থাকে, কিছু আবার জিহবা দ্বারা প্রকাশ করা হয়, আর
কিছু ইলম মানুষ কলম দ্বারা কাগজে লিখে হিফাযত করে থাকে। মস্তিষ্ক ও স্মৃতিতে যা
থাকে তা মানুষের সাথে চলে যায়। জিহ্বা দ্বারা যা প্রকাশ করা হয়, তাও সংরক্ষিত
عَلَّمَ الْإِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ ﴿٥﴾ 96:5 ৫। তিনি শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে
জানত না।
كَلَّا إِنَّ الْإِنْسَانَ لَيَطْغَى ﴿٦﴾ 96:6 ৬।
বস্তুত মানুষ তো সীমালংঘন করেই থাকে।
বিশেষদ্রষ্টব্যঃ- আপনি অনেক বই পড়লেন কিন্তু
সঠিক সহীহ বই পড়লেন না তাহলে আপনি সঠিক রাস্তা পাবেন না। কারন আপানাকে ভুল
গন্তব্যে নিয়ে যাবে। তাই আমি চিন্তা করলাম সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে,
বর্তমানে বেশির ভাগ ওয়ায,মেহফিলে(জালসায়) অনেক বানায়োট বিভ্রান্তিকর বই পাওয়া
যায় যে গুলি অনেক মানুষ কিনে থাকে। আর সেই বই গুলি পড়ে সঠিক রাস্তা হারিয়ে
ফেলে। তাহাকে বললে বলে কিনা বই থেকে তো পড়েছি কি করে বুজবো কোনটা সঠিক বই আর কোনটা বেঠিক বই। সেটাই তো ,কি করে বুঝবেন আজ সমাজেই তো নাম ধারী আলেমরাই বলছে, যদি এইরকম সমসসা হয় তাহলে আপনাকে হকপন্থী আলেম খুজতে হবে কে কুরান ও সুন্নাহ মোতাবেক চলে তার অনেক গুনাবলি আপনাকে দেখতে হবে। তাহলে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ । যে কোণ কোন একটাই পথ বেছে নিতে হবে, হক কিন্তু একটাই এটা মনে রাখবেন হক দুটো হতে পারে না।। (আপনি চিন্তা করবেন মানুষ তখনই ভুল পথে পরিচালিত হয় যখন সঠিক বইয়ের পরিচিতি
পাইনা। বিশেষ ভাবে মনে রাখবেন যে প্রতিটি জিনিসের ভালো এবং মন্দ দিক রয়েছে
,তাই আপনাকে সঠিক জিনিস গুলি খুজে বের করা আপনার দায়িত্ত্ব আর সঠিক মানুশের
কাজ হল সঠিক বইয়ের নাম গুলি চিহ্নিত করা । শেষে এই কথা বলব যে যদি কোন
কিছু ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার চোখে দেখবেন ,মানুষ মাত্রই ভুল হয়।। admin by
rasikul islam
No comments
Post a Comment