মুহাদ্দীস যুবায়ের আলী যাঈ (রহ) এর বই
শাইখ যুবাইর আলী যাঈ (রহ) এর বাংলায় অনুবাদকৃত তিনটি বই।
ছলাতে হাত বাধার বিধান এবং স্থান
মোহাম্মদ ওমর ফারুক (মিল্কি)
মোহাম্মদ ওমর ফারুক (মিল্কি)
ভিডিওটি ইউটিউবে HD তে দেখার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুনঃ
শাইখ যুবাইর আলী যাই (রহ) রচিত এ বইটি একটি অসাধারন মানের তাহকীকি ও ইলমি বই হিসেবে বেশ সমাদৃত হয়েছে। অত্র বইটি মুলত তার একাধিক প্রবন্ধের সমাহার। সম্প্রতি বইটির সরল বংগানুবাদ তাওহিদ পাবলিকেশন্স এর পরিবেশনায় বাজারে ছাড়া হয়েছে। বইটির প্রকাশক হলেন হাফেয রায়হান কবীর বিন আব্দুর রহমান এবং এর অনুবাদক হচ্ছে আহমাদুল্লাহ আনসারী।
শাইখ যুবাইর আলী যাই (রহ) রচিত এ বইটি একটি অসাধারন মানের তাহকীকি ও ইলমি বই হিসেবে বেশ সমাদৃত হয়েছে। অত্র বইটি মুলত তার একাধিক প্রবন্ধের সমাহার। সম্প্রতি বইটির সরল বংগানুবাদ তাওহিদ পাবলিকেশন্স এর পরিবেশনায় বাজারে ছাড়া হয়েছে। বইটির প্রকাশক হলেন হাফেয রায়হান কবীর বিন আব্দুর রহমান এবং এর অনুবাদক হচ্ছে আহমাদুল্লাহ আনসারী।
বৈশিষ্টসমুহঃ
বইটির শুরুতে অনুবাদক রচিত একটি ছোট ভুমিকা আছে এরপর শাইখের একটি ছোট জীবনী পেশ করা হইছে সেখানে তার ৩৭টি আরবি ও ৪৮ টি উরদু বইয়ের নামের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। ইতি মধ্যে বইটির দুটি অনুবাদ ছাপাও হয়েছে।
বইটির শুরুতে অনুবাদক রচিত একটি ছোট ভুমিকা আছে এরপর শাইখের একটি ছোট জীবনী পেশ করা হইছে সেখানে তার ৩৭টি আরবি ও ৪৮ টি উরদু বইয়ের নামের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। ইতি মধ্যে বইটির দুটি অনুবাদ ছাপাও হয়েছে।
বইটির দুটা অধ্যায় আছে। ১ম অধ্যায়ে ৭টি পরিচ্ছেদ আছেঃ
১ম পরিচ্ছেদে হাত বাদতে হবে নাকি ছাড়তে হবে তা নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। ইমাম মালেক (রহ) এর নামে যে ভ্রান্ত কথা শুনেছি যে তিনি হাত ছেড়ে নামায পড়তেন, সে কথাটির খন্ডন করা হয়েছে। ২য় পরিচ্ছেদে হাত বাধার বিধান ও স্থান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ৩য় পরিচ্ছেদে তিনি তাকলীদ পুজারির একটা ঘটনা উল্লেখ করেছেন। এরপর তিনি নাভির নিচে হাত বাধার দুটা হাদিসের তাহকীক পেশ করে সেগুলিকে খুবই যঈফ প্রমান করেছেন।
১ম পরিচ্ছেদে হাত বাদতে হবে নাকি ছাড়তে হবে তা নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। ইমাম মালেক (রহ) এর নামে যে ভ্রান্ত কথা শুনেছি যে তিনি হাত ছেড়ে নামায পড়তেন, সে কথাটির খন্ডন করা হয়েছে। ২য় পরিচ্ছেদে হাত বাধার বিধান ও স্থান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ৩য় পরিচ্ছেদে তিনি তাকলীদ পুজারির একটা ঘটনা উল্লেখ করেছেন। এরপর তিনি নাভির নিচে হাত বাধার দুটা হাদিসের তাহকীক পেশ করে সেগুলিকে খুবই যঈফ প্রমান করেছেন।
৪র্থ পরিচ্ছেদে তিনি বুকে হাত বাধার দুটি হাদীছ সম্পর্কে তাহকীক করেছেন। ৫ম পরিচ্ছেদে তিনি দেওবন্দিদের একটি আশ্চর্য মুলনিতি উল্লেখ করেছুন। তাহকীকের শেষে ইবনে আবি শাইবাহ এ নাভির নিচে (তাহাত আস সূররা) শব্দদুটি যে জোর করে ডুকানো হয়েচে সেটি নিয়েও কথা বলেছেন। ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদে তিনি মুয়াম্মাল বিন ইসমাইলকে নিয়ে একটি অসাধারন তাহকীক পেশ করে সব ভুল দাবির অসারতা সাবেত করেছেন। ৭ম পরিচ্ছেদে সিমাক বিন হারব সম্পর্কে চমতকার আলোচনা করেছেন।
২য় অধ্যায়ে তিনি দেওবন্দি আলেম অনওয়ার খুরশিদ রচিত হাদীছ অওর আহলেহাদীছ বইটির নাভির নিচে অংশটুকুর জবাব দিয়েছেন। এখানে তিনি ১১ টি দলিলের জবাব দেওবন্দি অকাবের দিয়েই দিয়েছেন। বইটির শেষে অনুবাদক একটি পরিশিষ্ট যোগ করেছেন যেখানে তিনটি বইয়ের মুয়াম্মল কো নিয়ে দলিলবিহিন কথার জবাব দিয়েছেন। বই তিনটি হলঃ
১. জাহাংগির স্যারের ছলাতে হাত বাধা। ২. আব্দুল মালেকের নবিজির নামায । ৩. আব্দুল মতিনের দলিলসহ নামাযের মাসায়েল। এই চমৎকার বইটি ডাউনলোড করেতে নিচের লিংক এ ক্লিক করুনঃ
নিজে দেখুন, জানুন এবং শেয়ার করে অন্যকে দেখার ও জানার সুযোগ দিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য এবং নিয়মিত পোস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের ফেইসবুক পেজ-এ লাইক দিন এবং ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন।
or
কিতাব পর্যালোচনাঃ আহমাদুল্লহ
পাকিস্তানের আলবানী খ্যাত, দেওবান্দী মাযহাবের সাবেক অনুসারী, বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস, হাদীছ তাত্ত্বিক, আলেমে দ্বীন শাইখ যুবায়ের আলী যাঈ রাহিমাহুল্লাহ একজন সুন্নাহ্ এর প্রকৃত খাদেম ছিলেন। বিশ্ববরেণ্য এই ব্যক্তিত্ব বিশুদ্ধ ইসলাম প্রচারে ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। বিভিন্ন গোমরাহ ফিরক্বার বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষুরধার লেখনীর অবদান আনস্বীকার্য।
তাঁর একাধিক গ্রন্থের মধ্যে “আল-ক্বওলুল মাতীন ফিল-জাহরি বিত-তামীন (ছলাতে আমীন জোরে বলার ব্যাপারে সুসংহত বক্তব্য)” অন্যতম একটি গ্রন্থ। ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পাঠ শেষে আমীন জোরে বলতে হবে নাকি আস্তে বলতে হবে, সে সম্পর্কে অত্র গ্রন্থে পক্ষ-বিপক্ষের দলীলগুলির পর্যালোচনা করা হয়েছে।
অত্র গ্রন্থটিকে তিনি দুভাগে বিভক্ত করেছেন। প্রথম ভাগের আলোচনার পূর্বে তিনি ভূমিকা হিসেবে আমাদের এবং দেওবান্দী ভাইদের কতিপয় মৌলিক পার্থক্য তুলে ধরেছেন। যেমন তাক্বলীদ, আক্বীদার ক্ষেত্রে দেওবান্দীদের শিরকী কর্মকাণ্ডে নিমজ্জিত থাকা ইত্যাদি। উদাহরনস্বরূপ, কবরে গিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করা, খালেক এবং মাখলূক এক মনে করা তথা ওয়াহ-দাতুল ওয়াজুদ এর আক্বীদা লালন করা ইত্যাদি। তিনি হয়তো এটি এজন্য দিয়েছেন যেন পাঠকবৃন্দ বুঝতে পারে যে, আমাদের আর তাদের মধ্যে শুধু ফিকহি বিষয়ে নয় বরং আকীদাহ ও মানহাজেও মতভেদ বা মতানৈক্য রয়েছে।
আতঃপর তিনি আহলেহাদীছদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পেশ করেছেন।
এরপর তিনি সর্বপ্রথম আবূ হুরায়রা (রা) এর বর্ণিত হাদীছ দ্বারা আমীন জোরে বলার পক্ষে আলোচনা শুরু করেছেন। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হাদীছও যথাক্রমে আবূ হুরায়রা (রা) হতেই বর্ণিত যেগুলি তিনি পর্যালোচনা সহ পেশ করেছেন। চতুর্থ হাদীছ হিসাবে তিনি ওয়াইল বিন হুজর (রা) এর হাদীছ উপস্থাপন করেছেন। অত্র হাদীসের আলোচনার অধীনে তিনি সুফিয়ান ছাওরী এবং শুবার বর্ণনা দুটির মধ্যে পর্যালোচনা করে এটা প্রমাণ করেছেন যে, সুফিয়ান কর্তৃক জোরে আমীন বলার হাদীসটি গ্রহণযোগ্য।
এরপর তিনি আলী (রা) হতে বর্ণিত একটি হাদীছ উল্লেখ করেছেন। তারপর তিনি উম্মুল হুছাইনের দাদী হতে বর্ণিত হাদীছ পেশ করেছেন। এগুলি হল মারফু হাদীস। পাঁচটি মারফু হাদীছ তিনি তাহক্বীক্বসহ অত্যস্ত চমকপ্রদ আলোচনার দ্বারা উপস্থাপন করার পর তিনি ছাহাবীদের হাদীছ তথা আছার এর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আবদুল্লাহ বিন ওমর (রা) এর আছারটি পেশ করেছেন। দ্বিতীয় হাদীছ হিসাবে তিনি আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়ের (রা) এর হাদীসটি পেশ করেছেন।
সর্বশেষ তিনি আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত একটি মারফু হাদীছ উল্লেখ করেছেন যেখানে বলা হয়েছে যে, সালাম শুনে ইহুদীরা যতটা হিংসা করে ততটা অন্য কিছুতে করে না। উল্লেখ্য যে, অত্র হাদীসগুলির সমর্থনে তিনি আরো কিছু সমর্থক বর্ণনা তাহক্বীক্বসহ পেশ করেছেন।
দ্বিতীয়ভাগে তিনি দেওবন্দীদের পেশকৃত কতিপয় দলীলের জবাব প্রদান করেছেন। এখানে তিনি চল্লিশেরও অধিক দলীল খন্ডন করেছেন এবং আমীন আস্তে বলার পক্ষে যারা প্রচারণা চালিয়েছেন তাদেরকে সাবলীল ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন। খন্ডনের ক্ষেত্রে তিনি মাযহাবীদের বড় বড় আলেমদের উদ্ধৃতি পেশ করেছেন। যেন তারা অন্ততপক্ষে নিজেদের আকাবীরদের বক্তব্যগুলি জানতে পারেন এবং সে অনুযায়ী আমল করতে পারেন। এটি শাইখের অদ্বিতীয় এবং অসাধারণ কর্মপন্থা। যা তাঁর গভীর ইলমের স্বাক্ষর বহন করে।
আমার জানামতে আমীন বলার বিষয়ে এর চাইতে ব্যাপক গবেষণামূলকগ্রন্থ বাংলা ভাষায় এর আগে অনুবাদ করা হয়নি। আশা করি এ গ্রন্থটি আলেম, ছাত্র এবং জ্ঞানীমহলে সমাদৃত হবে এবং তাদের মনে বিদ্যমান সংশয়ের জবাব প্রদান করতে সক্ষম হবে।
এই বইটির বাংলা অনুবাদ করেছেন ভাই আহমাদুল্লাহ, এবং এর সম্পাদনা করেছেন শ্রদ্ধেয় ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল গালিবের ছেলে, শাইখ আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাক্বিব।
বইটির পি.ডি.এফ শীঘ্রই দেওয়া হবে, ইন শা আল্লাহ্। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত বইটি পেতে হলে নিচের এড্রেস এ যোগাযোগ করুনঃ
~ আতিফা পাবলিকেশন্স,
৩৪, নর্থ-ব্রূক হল রোড (২য় তলা), বাংলাবাজার, ঢাকা।
ফোনঃ 01745639588, 01672308141
৩৪, নর্থ-ব্রূক হল রোড (২য় তলা), বাংলাবাজার, ঢাকা।
ফোনঃ 01745639588, 01672308141
~ ইসলামকে জানুন লাইব্রেরী
১১৪১/এ, খিলগাঁও, তিলপাপাড়া, ঢাকা
ফোনঃ ০১৮১১৯০৯১১১, ০১৭১৫১২০৩৯৬
১১৪১/এ, খিলগাঁও, তিলপাপাড়া, ঢাকা
ফোনঃ ০১৮১১৯০৯১১১, ০১৭১৫১২০৩৯৬
~ তাওহীদ পাবলিকেশন্স
৯০, হাজী আব্দুল্লাহ সরকার লেন, বংশাল, ঢাকা - ১১০০
ফোনঃ ৭১১২৭৬২, ০১১৯০৩৬৮২৭২, ০১৭১১৬৪৬৩৯৬
৯০, হাজী আব্দুল্লাহ সরকার লেন, বংশাল, ঢাকা - ১১০০
ফোনঃ ৭১১২৭৬২, ০১১৯০৩৬৮২৭২, ০১৭১১৬৪৬৩৯৬
এর পাশাপাশি বইটি এখন মাসজিদ আবু বাকার আস সাদ্দীক্ব শান্তিনগর, মাদারটেক আহলে হাদীস জামে মসজিদ এবং আহলে হাদীস জামে মাসজিদ খিলগাও এ পাওয়া যাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ!
শাইখ যুবায়ের আলী যাঈ (রাহিমাহুল্লাহ) এর জীবন ও কর্মের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুনঃ
কিঞ্চিৎ সংযোজনাঃ মুহাম্মাদ ওমার ফারুক (মিল্কি)
পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না।
পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না।
No comments
Post a Comment